Nilganj Blast: গোটা রাজ্যটাই বেআইনি। বেআইনি কারখানা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বড় বড় লেকচার মেরেছিলেন, আক্রমণ শুভেন্দুর

রবিবার সকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের নীলগঞ্জের মোছপোল। একাধিক জনের মৃত্যু হয়েছে পুলিশ সূত্রে খবর। বিস্ফোরনের ভয়াবহতা এতটাই তীব্র ছিল যে…

short-samachar

রবিবার সকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের নীলগঞ্জের মোছপোল। একাধিক জনের মৃত্যু হয়েছে পুলিশ সূত্রে খবর। বিস্ফোরনের ভয়াবহতা এতটাই তীব্র ছিল যে চারিদিকে ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে ছিল দেহ এবং দেহাংস। আশপাশের বাড়িগুলিতেও ফাটল দেখা দিয়েছে। ঘটনার পরই স্থানীয়রা ক্ষোভ উগরে দেন। সরাসরি আঙুল তুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষের দিকে।

   

রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “গোটা রাজ্যটাই বেআইনি। বেআইনি কারখানা নিয়ে মুখ্য়মন্ত্রী বড় বড় লেকচার মেরেছিলেন। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে টিম তৈরি হয়েছিল, বেআইনি বাজি কারখানা সরিয়ে দেওয়া হবে বলেছিলেন। আসলে এই রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী তো পুলিশকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবহারে ব্যস্ত।”

এদিন স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, “পুলিশ প্রশাসন থেকে রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষ জানতেন এই বাড়ি বেআইনি বাজি তৈরি হয়।“ তারা দাবি করেন যে যে বাড়িতে এই বেআইনি বাজি তৈরি হত সেই বাড়ির মালিককে নাকি তাঁরা বারংবার বলেছিলেন পাড়ার মধ্যে এই ধরনের কারখানা না করতে। এখানে না করে এলাকার বাইরে অন্য কোন জায়গায় করতে। কিন্তু সে কথা শোনা হয়নি বলেই অভিযোগ।

এলাকার তৃণমূলের নেতা বাবলা রায় জানিয়েছেন যে, “এখানে বাজি কারখানার আড়ালে বোমা কারখানার চলত। পুলিশ সব জানত। আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় বলেন, “ওটা বাজি কারখানা নয়। ওটা বোমা কারখানা।” এছাড়াও তিনি জানান, “আমি মিটিং করে পুলিশের আইসি কে বলেছিলাম আপনারা অবিলম্বে এই কারখানা বন্ধ করুন। সেলিম আলি এই কাজ করছে। ওর নাম করে বলেছিলাম। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করেনি। ওখানে আলু বোমা তৈরি হচ্ছিল। বাজির কোনও সম্পর্কই নেই।” অপর দিকে রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষ দাবি করেছেন যে মোছপোলে বাজি কারখানা রয়েছে সে বিষয়টি তিনি জানতেন না। তিনি জানান, “বলেছেন,”আজকের ঘটনার পর আমি জানতে পেরেছি।”