Coochbehar: ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড কোচবিহারে মর্মান্তিক মৃত্যু, ধ্বংস চিহ্ন সর্বত্র

দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির দেখা নেই, অন্যদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে তোলপাড় হয়েছে উত্তরবঙ্গ। একফোঁটা বৃষ্টির আশায় বসে রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। আর উত্তরবঙ্গের ঝড়-বৃষ্টিতে তছনছ সবকিছু। হয়েছে মৃত্যু, আহত…

cyclone in Coochbihar

short-samachar

দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির দেখা নেই, অন্যদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে তোলপাড় হয়েছে উত্তরবঙ্গ। একফোঁটা বৃষ্টির আশায় বসে রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। আর উত্তরবঙ্গের ঝড়-বৃষ্টিতে তছনছ সবকিছু। হয়েছে মৃত্যু, আহত হচ্ছেন বহু মানুষ। রবিবার কোচবিহারে (Coochbihar) বিধ্বংসী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ধংসের চিহ্ন সর্বত্র।

   

দুর্যোগে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক। ভেঙেছে বহু ঘর, উপরে পড়েছে বড় বড় গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি। বলা যেতে পারে সব মিলিয়ে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে গোটা কোচবিহার শহর।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় কোচবিহারে ঝড়-বৃষ্টিতে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। কোচবিহার ১ ব্লকের মোয়ামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় আঠারোটা গ্রামে আলমের ঘরের উপর গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে পড়ায় তার মৃত্যু হয়। এছাড়াও বিধ্বংসী ঝড়ের কারণে ঘরে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় আরও একজনের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা নাগাদ হঠাৎই ব্যাপক ঝড় ওঠে কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গায়। সঙ্গে শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। ঝড় বেশিক্ষণ না থাকলেও তার স্থায়িত্ব কালে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে সবকিছু।

অধিকাংশ বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়েছে, কাঁচা ঘর ভেঙে পড়েছে বহু জায়গায়। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। উপরে উঠে এসেছে বড় বড় গাছ। আহতদের অনেককেই কোচবিহার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এই ঘটনার খবর পেয়ে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, মাত্র ২০ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে বাড়িঘর, স্কুল ভেঙে পড়েছে। বড় বড় গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে দুজনের। আহত হয়েছে প্রচুর। প্রায় ৫০ টি অ্যাম্বুলেন্সে তাদের কোচবিহার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ছাদ হারানো মানুষগুলোর রাতে মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করতে জেলাশাসকের অফিসের তরফে কিছু ত্রিপল বিতরণ করা হয়েছে। সঙ্গে মঙ্গলবার থেকে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।