Rafayel Tudu: ৯ ম্যাচে ১২ গোল করে সাড়া জাগিয়েছেন আমতলীর রাফায়েল

শুরু করেছিলেন গোলকিপার হিসেবে, এখন একজন ফরোয়ার্ড। ৯ ম্যাচে ১২ গোল করে সাড়া জাগিয়েছেন রাফায়েল টুডু (Rafayel Tudu)। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ডিভিশনের ফুটবল লিগে সুযোগ পাওয়ার…

Rafayel Tudu, Bangladesh

short-samachar

শুরু করেছিলেন গোলকিপার হিসেবে, এখন একজন ফরোয়ার্ড। ৯ ম্যাচে ১২ গোল করে সাড়া জাগিয়েছেন রাফায়েল টুডু (Rafayel Tudu)। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ডিভিশনের ফুটবল লিগে সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই নিজেকে চেনাতে শুরু করেছিলেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার আমতলী গ্রামের এই তরুণ ফুটবলার।

   

দুই বাংলাতেই ফুটবল এখনও বহু মানুষের স্বপ্নের খেলা। বিশেষত গ্রামের দিকে। পশ্চিমবঙ্গের মতো বাংলাদেশের সাঁওতাল সম্প্রদায়ের অনেকের কাছে ফুটবলার হওয়া অনেক দূরের কথা। সংসার চালাতে হয় মাঠ চাষ করে, নাহলে ছোটোখাটো কোনও চাকরি। রাফায়েল টুডু ব্যতিক্রমী।

বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, রাফায়েল টুডুর বাবা মানিক টুডু ফুটবল খেলতেন। তিনিই ছেলেকে নিয়ে গিয়েছলেন ফুটবল মাঠে, মানিক টুডু ইহজগৎকে বিদায় জানিয়েছেন। ছেলে রাফায়েলের কাঁধে এসেছে পরিবারের দায়িত্ব। তবুও ফুটবল খেলা ছাড়তে পারেননি। এখানেই নিজের ভবিষ্যৎ গড়ার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর।

বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে সেরার শিরোপা অর্জন করেছে ইয়াংমেন্স ফকিরেরপুল ক্লাব। যার ফলে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ক্লাব। ইয়াংমেন্স ফকিরেরপুলের সাফল্যের পিছনে থাকা অন্যতম কারিগর রাফায়েল টুডু। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। নয় ম্যাচে করেছেন ১২ গোল। অথচ টুর্নামেন্টের শুরু থেকে তাঁকে মাঠেই নামাচ্ছিলেন না কোচ। পঞ্চম ম্যাচে রাফায়েলকে মাঠে নামানো সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কোচ ইমতিয়াজ খান লাবু।

মাঠে নেমেই রাফায়েল বুঝিয়ে দিলেন তাঁর গোল ক্ষুধা কতটা। হ্যাটট্রিক তো করলেনই, সব মিলিয়ে চার গোল। ওই ম্যাচের পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। মজার বিষয় হল, ২০২০-২১ মরসুমে রাফায়েল টুডুর পরিচিতি ছিল একজন গোলকিপার হিসেবে।