ভুয়ো সেনা ক্যাপ্টেন গ্রেফতার, সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

ভারতীয় সেনার ভুয়ো ক্যাপ্টেন সেজে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার (Fraud Arrested) করা হল এক ব্যক্তিকে। ঘটনাটি ঘটেছে খাস কলকাতায়। ধৃতের নাম শেখ নাজির হোসেন। তাকে পার্কস্ট্রিট…

Fake Army Captain Arrested, Shocking Details Emerge

short-samachar

ভারতীয় সেনার ভুয়ো ক্যাপ্টেন সেজে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার (Fraud Arrested) করা হল এক ব্যক্তিকে। ঘটনাটি ঘটেছে খাস কলকাতায়। ধৃতের নাম শেখ নাজির হোসেন। তাকে পার্কস্ট্রিট থানা এলাকার ইলিয়ট রোডের একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, শেখ নাজির হোসেন ভারতীয় সেনার গোর্খা রাইফেলসের ক্যাপ্টেন পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা চালিয়ে আসছিলেন।

   

পুলিশের তল্লাশি অভিযানে কিছু ভুয়ো সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। এগুলির মধ্যে ছিল গোর্খা রাইফেলসের ভুয়ো সেনা পোশাক, সবুজ রঙের সেনার টুপি, ভুয়ো পরিচয়পত্র, একাধিক আধার কার্ডের ফটোকপি, কালো রঙের সেনা বুট, লেদার বেল্ট, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সার্টিফিকেট এবং পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি। এই সামগ্রীগুলি দিয়ে শেখ নাজির তার ভুয়ো পরিচয় গড়েছিলেন এবং লোকজনের সাথে প্রতারণা করছিলেন।

পুলিশ জানায়, শেখ নাজির হোসেন পার্কস্ট্রিট এলাকায় একটি ট্রেনিং সেন্টার চালাতেন। সেখানে সেনাবাহিনী এবং এনসিসি-তে যোগ দেওয়ার আগ্রহী যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। তবে, এই প্রশিক্ষণ কতটা বৈধ ছিল তা নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর, পার্কস্ট্রিট থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের হয়। তারপরেই পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে (Fraud Arrested) ইলিয়ট রোডের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।

এদিকে, পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে যে, শেখ নাজির হোসেন নিজেকে গোর্খা রাইফেলসের ক্যাপ্টেন বলে পরিচয় দিতেন। তিনি ভুয়ো পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে আগ্রহী যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন। শেখ নাজিরের প্রতারণার পুরো পদ্ধতি এখনও তদন্তের বিষয়, তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে তিনি এসব টাকা হাতিয়ে নিতেন।

পুলিশ বর্তমানে তদন্ত করছে, শেখ নাজির হোসেনের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত ছিল কি না। এছাড়া, তিনি এই ভুয়ো সামগ্রী কোথা থেকে সংগ্রহ করতেন তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে, সেনা পোশাক ও সামগ্রীর ব্যবহারের ক্ষেত্রে তার উদ্দেশ্য কী ছিল, সেটাও তদন্তের অংশ।

পুলিশ জানিয়েছে, পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার পরই প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। তবে,শেখ নাজির হোসেনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে, পুলিশের ধারণা, এই ধরনের প্রতারণা চালিয়ে শেখ নাজির হোসেন সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে ইচ্ছুক যুবকদের কাছ থেকে মোটা টাকা আদায় করতেন। বর্তমানে পুলিশের তদন্ত চলছে এবং তারা নিশ্চিত করতে চায় যে এ ধরনের অপরাধ ভবিষ্যতে আর না ঘটে।