স্পেশাল স্ট্যাটাস না দিয়ে শরিকদের ঢালাও বরাদ্দ, দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে মরিয়া মোদী?

সংসদে পূর্ণাঙ্গ বাজেট (Union Budget 2024)পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitaraman)। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মোদী সরকারের এটাই প্রথম বাজেট। আর এই বাজেটে…

Budget

short-samachar

সংসদে পূর্ণাঙ্গ বাজেট (Union Budget 2024)পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitaraman)। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মোদী সরকারের এটাই প্রথম বাজেট। আর এই বাজেটে ‘পূর্বদয়’ স্কিমের কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা। পূর্বের রাজ্যগুলির কালচারাল এবং ন্যাচারাল হেরিটেজের কথা এদিন শোনা যায় অর্থমন্ত্রীর গলায়। 

   

১০ লক্ষ্য টাকা ঋণ, বাজেটে পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ ঘোষণা

দেশের পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি, অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ ঝাড়খন্ড উড়িষ্যা বিহারের মতো রাজ্যগুলির জন্য এই বিশেষ স্কিম। তবে পূর্বাঞ্চলের কথা হলেও শুধুমাত্র বিহারের ভাগ্যেই জুটেছে এই স্কিমের ষোলোআনা ফায়দা। বাংলা, ওড়িষা ও ঝাড়খন্ডসহ বাকি রাজ্যগুলির ভাগ্যে তেমন কিছুই জোটেনি। বিহারের জন্য কমপক্ষে ৪০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ বরাদ্দ হয়েছে। যারমধ্যে তাপবিদ্যুত্ প্রকল্প, রাস্তা ও পরিকাঠামো ক্ষেত্রেও হয়েছে বিপুল বরাদ্দ ।

নির্মলার বাজেটে উচ্ছ্বসিত কংগ্রেস!

এবারের বাজেটে বাংলার জন্য বরাদ্দ হয়েছে অমৃতসর-কলকাতা ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর। এই করিডর বাস্তবায়িত হলে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে বলে বাজেটে বলা হয়। তবে এনডিএ জোট শরিক বিহার ও অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য ঢালাও বরাদ্দ হয়েছে এই বাজেটে। তবে বাজেটে বরাদ্দ বাড়লেও ওই দুই রাজ্যের স্পেশাল স্ট্যাটাস নিয়ে কোনওরকম উচ্চবাচ্য করেনি অর্থমন্ত্রী।

সুতরাং স্পেশাল স্ট্যাটাসের প্রশ্নে বিহার ফের ধাক্কা খেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষেত্রেও ব্যতীক্রম হয়নি। অর্থ্যাত্ হাজার কোটি টাকার বাজেট বাড়িয়েও আসলে দুধের স্বাদ ঘোলে মোটানোর মতোই ব্যাপার বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

বাংলার কপালে শুধুই করিডর, বিহার-অন্ধ্রপ্রদেশকে দু হাত উপচে উপহার নির্মলার?

টিডিপি নেতা তথা অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং জেডিইউ নেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার দীর্ঘ দিন ধরে তাঁদের রাজ্যকে বিশেষ রাজ্যের তকমা বা স্পেশ্যাল ক্যাটেগরি স্টেটাস দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। সেই উদ্দেশ্যেই এবার মোদী সরকারের সঙ্গে জোট সরকার গঠন করেন চন্দ্রবাবু নায়ডু ও নীতীশ কুমার। কিন্তু আপাতত সেই উদ্দেশ্য সফল না হওয়ায় বাস্তবে হতাশ হতে হল মোদীর দুই জোট শরিককে। আগামীদিনে এই হতাশা কত বড় আকার ধারণ করে সেটাই দেখার। এই দুধের স্বাধ ঘোলে মেটানোর চেষ্টা পরবর্তীতে জোটে চিড় ধরাতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।