পুলিশ ইউনিফর্মে কলঙ্ক, নাবালিকা ধর্ষণে কনস্টেবলসহ দুই অভিযুক্ত গ্রেফতার

বেঙ্গালুরুর বোম্মনহাল্লি পুলিশ স্টেশনের এক কনস্টেবলসহ দুই ব্যক্তিকে নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত কনস্টেবল অরুণ ও ভিকি নামে আরেক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১৭ বছর…

police-uniform-disgrace-constable-neighbor-arrested-minor-rape-bengaluru

short-samachar

বেঙ্গালুরুর বোম্মনহাল্লি পুলিশ স্টেশনের এক কনস্টেবলসহ দুই ব্যক্তিকে নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত কনস্টেবল অরুণ ও ভিকি নামে আরেক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ আইন ২০১২ এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS) ২০২৩ এর অধীনে মামলা দায়ের করেছে।

   

ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, নির্যাতিতা বোম্মনহাল্লি এলাকার বাসিন্দা। তিনি তার প্রতিবেশী ভিকির সঙ্গে ধীরে ধীরে পরিচিত হন, যিনি তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতির ফাঁদে ফেলে। আর এই আস্থার সুযোগ নিয়ে ভিকি তাঁকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করে বলে অভিযোগ। এক পর্যায়ে নির্যাতিতা তাঁর মায়ের কাছে সমস্ত ঘটনা জানালে, মেয়েটির পরিবারের তরফ থেকে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

অপরদিকে অভিযোগ দায়ের করার সময় কনস্টেবল অরুণ, নির্যাতিতা ওই মহিলার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে তাকে ন্যায়বিচার ও চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর ডিসেম্বর মাসে অরুণ তাকে একটি হোটেলে নিয়ে যায় এবং মদে ড্রাগ মিশিয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করে। এরপর তিনি নির্যাতিতাকে হুমকি দিয়ে বলেন, যদি সে কাউকে বিষয়টি জানায়, তাহলে তার ব্যক্তিগত ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

এ ঘটনায় পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে। বেঙ্গালুরু পুলিশ কমিশনার বি. দয়ানন্দ বলেন, “এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ঘটনা সামনে আসতেই কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।”

এই ঘটনায় স্থানীয় জনগণ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে। পুলিশ স্টেশনের কর্মীই এ ধরনের অপরাধে জড়িত হওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে সহায়তা করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করারও দাবি উঠেছে।