কেন F-35 ফাইটার জেটকে উড়ন্ত কম্পিউটার বলা হয়

F-35 Stealth Fighter Jets: ‘F-35’ স্টিলথ ফাইটার জেট নিয়ে আলোচনা পুরোদমে চলছে কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নয়াদিল্লির…

F-35 pilot

short-samachar

F-35 Stealth Fighter Jets: ‘F-35’ স্টিলথ ফাইটার জেট নিয়ে আলোচনা পুরোদমে চলছে কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নয়াদিল্লির কাছে ‘F-35’ স্টিলথ ফাইটার জেট বিক্রির ঘোষণা করেছেন। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে, ভারত অত্যাধুনিক স্টিলথ বিমান রয়েছে এমন দেশের ক্লাবে যোগ দেবে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এই জেটটিকে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত জেটগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাই এই চুক্তি ভারতের জন্য একটি বড় জয়।

   

ভারত শেষ পর্যন্ত কবে F-35 পাবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিদেশী অস্ত্র চুক্তি চূড়ান্ত হতে অনেক বছর সময় লাগে। জেনে নিন যে ভারত যদি F-35 পায় তাহলে কেন এটি নয়াদিল্লির জন্য একটি বড় জয় এবং কীভাবে এটি দেশের বিমান হামলার সক্ষমতা বাড়াবে? প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক স্টিলথ বিমান কাকে বলে?

স্টিলথ বিমানগুলি রাডার, ইনফ্রারেড এবং অন্যান্য ধরণের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণ এড়াতে ডিজাইন করা হয়েছে। যদিও সম্পূর্ণরূপে রাডার এড়ানো কঠিন, তবে অন্যান্য বিমানের তুলনায় এই বিমানগুলি রাডার দ্বারা সনাক্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম। F-35 এমনই একটি স্টিলথ বিমান যা আমেরিকান কোম্পানি লকহিড মার্টিন তৈরি করেছে।

উড়োজাহাজের আকৃতিটি একটি তির্যক আয়নার মতো উৎস থেকে দূরে রাডার শক্তি প্রতিফলিত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এর পৃষ্ঠটিও মসৃণ এবং মসৃণ করা হয়েছে যাতে রাডার শক্তি সহজেই এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে – ঠিক যেমন জল একটি মসৃণ পৃষ্ঠের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। F-35 ফাইটার জেট একটি F135 ইঞ্জিন ব্যবহার করে যা 40,000 পাউন্ড থ্রাস্ট তৈরি করে। এটির সাহায্যে এটি Mach 1.6 (1,200 mph) উচ্চ গতিতে পৌঁছতে পারে।

F-35 এর ককপিট অন্যান্য ফাইটার এয়ারক্রাফট থেকে আলাদা; এটিতে অন্যান্য বিমানের মতো গেজ বা স্ক্রিন নেই। এটিতে একটি বড় টাচস্ক্রিন এবং হেলমেট-মাউন্টেড ডিসপ্লে সিস্টেম রয়েছে যা পাইলটকে রিয়েল-টাইম তথ্য দেখতে এবং বুঝতে সক্ষম করে। হেলমেটটি পাইলটকে বিমানের মাধ্যমে দেখতে দেয়।
F-35 এর ডিস্ট্রিবিউটেড অ্যাপারচার সিস্টেম (DAS) এবং বিমানের চারপাশে কৌশলগতভাবে স্থাপন করা ছয়টি ইনফ্রারেড ক্যামেরার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।

F-35 fighter jet
F-35 fighter jet

F-35 ফাইটার প্লেনের অস্ত্র ক্ষমতাও 6,000 কেজি থেকে 8,100 কেজি পর্যন্ত। যাইহোক, বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে F-35 কে আলাদা করে তোলে এটি এর ফায়ারপাওয়ার নয় বরং এর কম্পিউটিং শক্তি। এই কারণেই F-35 ‘কোয়ার্টারব্যাক ইন দ্য স্কাই’ বা ‘একটি কম্পিউটার যা উড়ে যায়’ নামে পরিচিত।