৯৯ বছরের লিজে স্বাধীনতা পেয়েছে ভারত, দাবি বিজেপি নেত্রীর

News Desk, Kolkata: ভারত এখনও স্বাধীন হয়নি। আমরা যে স্বাধীন ভারত দেখছি সেটা ব্রিটিশ শাসকের কাছ থেকে ৯৯ বছরের লিজ পাওয়া। চাঞ্চল্যকর এই মন্তব্য করলেন…

BJP youth wing leader Ruchi Pathak

short-samachar

News Desk, Kolkata: ভারত এখনও স্বাধীন হয়নি। আমরা যে স্বাধীন ভারত দেখছি সেটা ব্রিটিশ শাসকের কাছ থেকে ৯৯ বছরের লিজ পাওয়া। চাঞ্চল্যকর এই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেত্রী রুচি পাঠক। বিজেপি যুব মোর্চার মুখপাত্র রুচির এই মন্তব্যে গোটা দেশ জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পাশাপাশি উঠেছে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড়। কিসের ভিত্তিতে বিজেপি নেত্রী এই মন্তব্য করলেন সেটাই মূল প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

   

উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে ঝাঁসিতে একটি বিতর্ক সভার আয়োজন করেছিল স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। ওই অনুষ্ঠানে রীতিমতো কংগ্রেসকে তুলোধোনা করেন নেত্রী। সে সময় রুচি বলেন, ভারত এখনও স্বাধীনতা অর্জন করতে পারেনি। ৯৯ বছরের লিজে কংগ্রেস স্বাধীনতা পেয়েছিল। এ ব্যাপারে একটি লিখিত চুক্তিও হয়। ইতিহাস পড়লেই বোঝা যাবে ব্রিটিশরা আমাদের স্বাধীনতা দিতে রাজি ছিল না। দেশের সংবিধান তৈরি হওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন নেহেরু। তাই এটাকে কখনওই স্বাধীনতা বলা যায় না। আমরা যে স্বাধীনতা ভোগ করছি সেটা ৯৯ বছরের জন্য।

ওই মন্তব্যের পর এই সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ট্রোলড হয়েছেন রুচি। নেটিজেনরা সকলেই প্রশ্ন তুলেছেন, কিসের ভিত্তিতে বিজেপির যুব মোর্চা নেত্রী এমন কথা বললেন। কেউ কেউ বলেছেন, বিজেপির সমস্ত নেতারা হোয়াটসঅ্যাপ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। রুচি হলেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের টপার। কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে গিয়ে এই মুহূর্তে রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন নেত্রী। নেটিজেনরা সকলের দাবি, এমন গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য নেত্রী কোন তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে করেছেন সেটা তাঁকে জানাতে হবে। শুধু নেটিজেনদের কাছেই নয়, ওই মন্তব্যের জন্য দলের অন্দরে ও চাপের মুখে পড়েন রুচি।

তাই তড়িঘড়ি রুচি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। তিনি নতুন এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমি আবেগের বশে ওই মন্তব্য করেছিলাম। দেশবাসীর ভাবাবেগে আঘাত করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। আমার এই মন্তব্য একান্তই ব্যক্তিগত। এর সঙ্গে দলের কোনো যোগ নেই। আমি কয়েকটি ব্লগের তথ্য পড়ে ওই মন্তব্য করেছি। হতে পারে আমার কাছে ভুল তথ্য ছিল।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নেত্রীর এই মন্তব্য সাধারণ মানুষের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। অন্যদিকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পাল্টা বলা হয়েছে, বিজেপি নেত্রী রীতিমতো জেনে-বুঝে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। আসলে কংগ্রেসের গায়ে কালি ছেটানোই তাদের উদ্দেশ্য। কিন্তু বিজেপির নেতৃত্বের এই উদ্দেশ্য সফল হবে না।