Best Midfielder : তুর্কিতে সেরা মিডফিল্ডারের পুরস্কার পেলেন এক ভারতীয় ফুটবলার

তুর্কি মহিলা কাপ (Turkish Women’s Cup) অভিযান শেষে মনীষা কল্যাণ (Manisha Kalyan) জিতেছেন “টুর্নামেন্টের সেরা মিডফিল্ডার” (Best Midfielder)-এর পুরষ্কার। হাতে পুরস্কার তুলে নিলেও প্রতিযোগিতায় দল…

Manisha Kalyan

short-samachar

তুর্কি মহিলা কাপ (Turkish Women’s Cup) অভিযান শেষে মনীষা কল্যাণ (Manisha Kalyan) জিতেছেন “টুর্নামেন্টের সেরা মিডফিল্ডার” (Best Midfielder)-এর পুরষ্কার। হাতে পুরস্কার তুলে নিলেও প্রতিযোগিতায় দল চ্যাম্পিয়ন না হওয়ার গ্লানি ফুটে উঠেছিল মনীষার মুখে। কসোভোর কাছে ০-১ গোলে হেরে তুর্কি মহিলা কাপে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি মনীষার দল।

   

‘ব্লু টাইগ্রেস স্কোয়াডে তাঁর সতীর্থদের সক্রিয় সমর্থন ছাড়া এই পুরষ্কার জয় করা সম্ভব হতো না’, বলেছেন মনীষা কল্যাণ। ‘সেরা মিডফিল্ডারের ট্রফি পেয়ে আমি খুশি। আমি আমার দলকে এতদূর পৌঁছাতে এবং রানার্স-আপ হিসাবে শেষ করতে সহায়তা করতে পেরেছি। তবে এটা আমার কৃতিত্ব নয়; সতীর্থদের সাহায্য ছাড়া এটা অর্জন করতে পারতাম না।’

কসোভোর বিরুদ্ধে দারুণ লড়াই করেও তিন পয়েন্ট ছাড়তে হয়েছে ভারতকে, আক্ষেপ মনীষার। ‘ম্যাচে আমরা ভালো খেলেছি। যথেষ্ট সুযোগ তৈরি করেছিলাম, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেগুলো গোলে রূপান্তর করতে পারিনি। এটি আমাদের জন্য একটি শেখার প্রক্রিয়াও ছিল। এই মূল্যবান অভিজ্ঞতা আমরা আমাদের পরবর্তী প্রচেষ্টায় কাজে লাগাবো।’

প্রধান কোচ ল্যাঙ্গাম চাওবা দেবী কসোভোর বিরুদ্ধে ম্যাচ নিয়ে একই মতামত ব্যক্ত করেছেন, ‘সব মিলিয়ে আমার মেয়েরা ভালো খেলেছে, অলআউট লড়াই করেছে। কিন্তু শেষ কয়েক সেকেন্ডে নিজেদের ফর্ম ধরে রাখতে পারিনি। সেই সময় প্রতিপক্ষ জয়সূচক গোলটি করেছিল। কসোভোর সাত নম্বর (এরেলেটা মেমেতি) খুব ভাল ড্রিবলার, আমরা ম্যাচের আগের দিন সেটা আলোচনা করেছিলাম। তিনিই ম্যাচের একমাত্র গোলটিই করলেন’, হতাশ কোচ বলেছেন।

‘আমরা গোল করার অনেক সুযোগ পেয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের মেয়েরা গোল করতে পারেনি। তারপরও এই রানার্সআপ শিরোপা অনেক বড় ব্যাপার, কারণ কসোভো শক্তিশালী দল। সমস্ত কৃতিত্ব মেয়েদের। কারণ তারা পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত ফুটবল।’