TMC: লোকসভা ভোটের আগেই শাসক দলে ভাঙন? সন্দেশখালি নিয়ে চাপ বাড়ল মমতার!

সন্দেশখালি (Sandeshkhali) মামলা নিয়ে রাজ্য তো বটেই, সমগ্র দেশজুড়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সব স্তরের মানুষ এই সন্দেশখালি নিয়ে আলোচনা করেছেন।…

Mamata Banerjee

short-samachar

সন্দেশখালি (Sandeshkhali) মামলা নিয়ে রাজ্য তো বটেই, সমগ্র দেশজুড়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সব স্তরের মানুষ এই সন্দেশখালি নিয়ে আলোচনা করেছেন। মেয়েদের নিরাপত্তা কোথায়? সেই নিয়ে বারবার পেনশন উঠছে স্বাভাবিকভাবেই।

   

এদিকে এই সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে মমতা সরকারের পদক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তৃণমূলেরই দুই সাংসদ। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) সিদ্ধান্তে দুই সাংসদ খুশি প্রকাশ করেছেন৷ যেখানে বলা হয়েছে, হিংসা কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মহিলাদের জন্য রাজভবনের দরজা সব সময়ই খোলা থাকবে৷ তাঁরা বাড়িতে সুরক্ষিত নন৷ রাজ্যপালের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তৃণমূলের দুই নেতা।

বিপন্ন সন্দেশখালি এলাকার বিক্ষুব্ধ মহিলাদের জন্য রাজভবনের দরজা খুলে দেওয়ার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বসুর সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংসদ, যারা বর্তমানে তাদের বিজেপি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে দল থেকে বিচ্ছিন্ন।

আর এই দুজন হলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী (Sisir Adhikary) ও ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী এবং তাঁর ছোট ছেলে তমলুকের লোকসভা সাংসদ দিব্যেন্দু উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির বিক্ষুব্ধ মহিলাদের অবস্থা বোঝার জন্য রাজ্যপালের প্রশংসা করেছেন।

শিশির অধিকারী বলেন, ‘রাজ্যপালের এই পদক্ষেপ নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে, যখন তাদের ক্ষমতাসীন সিপিআইয়ের হাত থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য তাদের গ্রামের বহু লোককে তাদের বাড়ির পাশাপাশি তাদের আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুদের জায়গায় জায়গা দিতে হয়েছিল।’

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করে তাঁকে চিঠিও দিয়েছেন দিব্যেন্দু। দিব্যেন্দু চিঠিতে লিখেছেন, ‘সন্দেশখালির নির্যাতিত মহিলাদের রাজভবন চত্বরে আশ্রয় দিতে আপনারা যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা সত্যিই অভাবনীয় পদক্ষেপ। ‘

তমলুকের সাংসদ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ মহিলাদের কোনও সমর্থনের জন্য আপনি যদি দয়া করে আমাকে আপনার পাশে দাঁড়ানোর অনুমতি দেন তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে কৃতজ্ঞ থাকব।’

দিব্যেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন বলেন, “দেশদ্রোহীরা কী ভাবল বা বলল তাতে কিছু যায় আসে না। দু’জনেরই আগে স্পষ্ট করা উচিত তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন নাকি এখনও তৃণমূলে রয়েছেন। “